Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2020

আমতার পূর্ব গাজীপুরে আগুন,ঘটনাস্থলে দমকলের ২ টি ইঞ্জিন

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ বেলায় হঠাৎই আমতা-১ ব্লকের আমতা-বাগনান রোড সংলগ্ন পূর্ব গাজীপুর গ্রামের একটি খড়িবনে আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়।আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। স্থানীয়দের অনুমান,প্রায় ১৫ বিঘা জমির খড়ি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।ঘটনাস্থলে দমকলের দু'টি ইঞ্জিন ও আমতা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে।এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে।

বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণ রক্ষায় রাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষও ক্রমে সচেতন হচ্ছেন।এবার বন্যপ্রাণ রক্ষায় সরাসরি এগিয়ে এলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল।জানা গেছে,আজ আমতা-২ ব্লকের নারিট থেকে কুশবেড়িয়ায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে নারিট-কুশবেড়িয়া রোডের তেগেছিয়ার কাছে রাস্তায় একটি পেঁচাকে পরে থাকতে দেখেন তিনি। পেঁচাটির শরীরে সামান্য আঘাতও ছিল।তৎক্ষনাৎ সুকান্ত বাবু নিজের গাড়িতে পেঁচাটিকে তুলে নেন।তিনি ও তাঁর সহযাত্রী অভিজিৎ প্রামাণিক পেঁচাটিকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে এসে বন দপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেন।সুকান্ত পাল বলেন,"বন্যপ্রাণ রক্ষা ও সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।সমাজের সর্বস্তরে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।"

মহিষামুড়ি অনামিকা সংঘের উদ্যোগে চলছে তিনদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি: আমতা-২ ব্লকের মহিষামুড়ি গ্রামের সুস্থ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক অনামিকা ক্লাব।তাদের পুজো এবার ৪১ তম বর্ষে পদার্পণ করল।এই উপলক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে মহিষামুড়ি গ্রামে।এবছরের ভাবনা 'ঐক্যের ভারত ও প্লাস্টিকমুক্ত নির্মল পরিবেশ'।জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা।উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে স্থানীয় মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রামের অসহায় মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি রয়েছে নৃত্য,সঙ্গীত,অঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।মহিষামুড়ি অনামিকা ক্লাবের সম্পাদক শিক্ষক সন্দীপ পন্ডিত জানান,"১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে মহিষামুড়ি গ্রামের শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশে অনামিকা ক্লাব এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে"।

শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে সেজে উঠছেন আমতার শতাব্দীপ্রাচীন সরস্বতী

নিজস্ব প্রতিনিধি:সময়টা ১৯০৫।বাংলা সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন।অন্যদিকে,লর্ড কার্জনের একটি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে  হঠাৎই গর্জে উঠলো বাঙালি।ব্রিটিশ সরকারের বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দিকে দিকে শুরু হল সংঘবদ্ধ লড়াই।স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ছাত্র-যুবদের মধ্যে সঞ্চার করলেন এই ক্ষোভের আগুন।কোথাও বিদেশী দ্রব্য বয়কট,কোথাও বা স্বদেশী দ্রব্যের প্রচলন।বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে সেই ক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল সুপ্রাচীন বন্দর নগরী আমতার বুকে।মার্টিন রেল,পান্তুয়া,সতীপীঠ মেলাইচন্ডী মন্দির সমৃদ্ধ এই ঐতিহাসিক জনপদ মুহুর্তের মধ্যে যেন গর্জে উঠল।এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রয়োজন সংঘবদ্ধ শক্তির।আর সেই ঐক্য গড়ে তুলতে গেলে প্রয়োজন সাংগঠনিক শক্তির।আমতার ছাত্র-যুবদের একছাতার তলায় আনতে বেছে নেওয়া জল মাতৃশক্তি তথা বাগদেবীর আরাধনাকে।প্রথম বছরই তথা ১৯০৫ সালে মহাধুমধাম সহকারে অষ্টম পরী সহ ডাকের সাজে সুসজ্জিতা হয়ে মৃন্ময়ী মায়ের মন্ডপে আগমন ঘটে।১৯০৫ সালের সেই প্রথম পুজোয় পৌরহিত্য করেন বঙ্কিম চক্রবর্তী।মাতৃ আরাধনা ও ভোগ প্রস্তুতির জন্য গড়ে উঠল মাটির ঘর।তারই সাথে সংহতি স্থাপনের উ

পাতা ফাঁদে আটকে গেল লক্ষ্মীপেঁচা,গ্রামবাসীদের তৎপরতায় উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি: বহুবার পুকুরে জাল দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন প্রকৃতি সচেতন বহু মানুষ।তাতেও টনক নড়েনি।পুকুর বাঁচাতে গিয়ে পাখীদের কাছে মারণফাঁদ পেতে বসছেন বহু মানুষ।আবারও সেরকমই পাতা মারণফাঁদে জড়িয়ে গেল একটি লক্ষ্মী পেঁচা।ঘটনাটি ঘটেছে উদয়নারায়ণপুর ব্লকের পালিয়াড়া গ্রামে।আজ সকালে পালিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক শ্যামল জানা স্থানীয় একটি পুকুরে পাতা জালে একটি পূর্ণ বয়স্ক লক্ষ্মীপেঁচাকে আটকে থাকতে দেখেন। তৎক্ষনাৎ পেঁচাটিকে উদ্ধার করে নিজের বাড়িতে আনেন।খবর দেন স্থানীয় পরিবেশকর্মী সৌরভ দোয়ারীকে।পা'য়ে ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় তিনি প্রাথমিক শুশ্রষা করেন এবং খবর দেন বন দপ্তরে।বন দপ্তরের কর্মীরা এসে আহত পেঁচাটিকে উদ্ধার করেন।সৌরব দোয়ারীর কথায়,"মানুষকে এব্যাপারে দ্রুত সচেতন হবে হবে"।

থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়াল বসন্তপুরের তরুণরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আমতা-১ ব্লকের বসন্তপুর তরুণ সংঘের উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া গার্জিয়ান্স এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় বসন্তপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হল স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির।মোট ৫০ জন রক্তদান করেন।প্রত্যেক রক্তদাতার হাতে আমতা-১ নং পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দেওয়া মেহগিনি গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়।এর পাশাপাশি,চক্ষু পরীক্ষা শিবির ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে জানান বসন্তপুর তরুণ সংঘের কর্তা দেবদাস চক্রবর্তী।

বাধা এসেছে তবুও লক্ষ্যে অবিচল থেকেছেন,স্বীকৃতিরূপে আমতার ভূমিপুত্র পেলেন 'পদ্মশ্রী'

নিজস্ব প্রতিনিধি:কখনো বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ,কখনো বা সম্পূর্ণ একক প্রয়াসে নিজের বিদ্যালয়ে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেছেন,আবার স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে চোলাইয়ের ঠেক ভেঙেছেন।তার সাথে তিন তালাকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন।একই সঙ্গে বিদ্যালয়ে চালু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ,নেতাজি এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী পালন।আর এসব করতে গিয়েই একরাশ বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল এই উদ্যোমী কর্মবীরকে।জুটেছিল মা'র।তাঁকে খুন হওয়ারও সম্মুখীন হতে হয়েছিল।তবুও তিনি তাঁর লক্ষ্য থেকে পিছপা হননি।মাথা উঁচু করে অদম্য লড়াই চালিয়ে গেছেন।আর তারই স্বীকৃতি স্বরূপ এবছর দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান 'পদ্মশ্রী'তে ভূষিত হতে চলেছেন আমতার ভূমিপুত্র কাজী মাসুম আখতার।বর্তমানে কোলকাতার বাসিন্দা হলেও মাসুম বাবুর জন্ম গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-১ ব্লকের বসন্তপুর গ্রামের কাজীপাড়ায়।সেখানেই বেড়ে ওঠা।তারপর ১৯৮৮ সালে বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাস করে কোলকাতায় উচ্চশিক্ষা।ইতিহাসের কৃতি ছাত্র মাসুম আখতার পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতিতে কোলকাতার অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন।বি.এড শেষ করেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরী

পথদুর্ঘটনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ক্লাবের উদ্যোগ,সামিল হলেন আমতা থানার ও.সি

নিজস্ব প্রতিনিধি: আমতা-১ ব্লকের ভাণ্ডারগাছা তরুণ সংঘের প্ল্যাটিনাম জুবিলী উৎসব উপলক্ষ্যে আজ সকালে আমতা-রাণীহাটি রোডের ভান্ডারগাছা ব্রাহ্মণপাড়ায় এক বিশেষ পথসচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। আয়োজক সংস্থার সদস্য-সদস্যারা পথচলতি মানুষকে পথ দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করেন।'সেফ ড্রাইভ,সেভ লাইফ' শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমতা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক টিম্পু দাস।তিনিও পথে নেমে হেলমেটহীন সওয়ারীদের কাছে হেলমেট ব্যবহার করার অনুরোধ করেন।

পথ নিরাপত্তা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে আমতায় পুলিশের সাথে পথে নামল পড়ুয়ারা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঘুমাচ্ছন্ন ড্রাইভার ভাইদের কখনো পুলিশের শীর্ষকর্তারা বাড়িয়ে দিয়েছেন গরম চায়ের কাপ,আবার কখনো বা হেলমেটহীন সওয়ারীর মাথায় পুলিশ তুলে দিয়েছে হেলমেট। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে বছরভর 'সেফ ড্রাইভ,সেভ লাইফ' সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।৩১ তম জাতীয় পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের উদ্যোগে আমতা থানার পক্ষ থেকে আমতা-১ ব্লকের নতুন রাস্তার মোড়ে বিশেষ পথসচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হল। উক্ত কর্মসূচিতে পথচলতি মানুষকে পথনিরাপত্তা সম্পর্কে বিভিন্ন বার্তা দিতে পথে নামে ছাত্রছাত্রীরা।ছাত্রছাত্রীদের সাথে আমতা শহরে পদযাত্রায় সামিল হোন আমতা-১ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক লোকনাথ সরকার,আমতা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধনঞ্জয় বাকুলী,আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল,আমতা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক টিম্পু দাস সহ আমতা থানার অন্যান্য আধিকারিক,সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ অন্যান্যরা।পথ দুর্ঘটনা সম্পর্কিত বিভিন্ন মডেল প্রদর্শনও করা

আমতার উদংয়ে কৃষিমেলাকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর

নিজস্ব প্রতিনিধি:কৃষিপ্রধান গ্রাম আমতার উদং,ফতেপুর,তাজপুরের মতো দামোদর তীরবর্তী জনপদগুলি।কৃষকরা দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নীরবে নিভৃতে ফসল ফলিয়ে যান।কিন্তু সেইসমস্ত বঞ্চিত মানুষকে সম্মান জানাতেই প্রায় চার দশক আগে উদং গ্রামের কিছু উদ্যোমী যুবক চালু করেছিলেন গ্রামীণ কৃষি ও হস্তশিল্প মেলা।উদং যুবক সংঘ পরিচালিত এই গ্রামীণ কৃষি মেলা এবার ৪৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল। প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতিবছরের মতো এবছরও সুশোভিত প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে স্থানীয় কৃষক বন্ধুদের ফলানো বিভিন্ন ফসল।স্থান পেয়েছে ৮-১০ কেজি সাইজের বেশ কিছু ফুলকপি,বৃহৎ আকারের মুলো,হলুদ বাঁধাকপিসহ একাধিক কৃষিজ দ্রব্য।তার সাথে সাথে রয়েছে বিভিন্ন রং বেরংঙের ফুল।পাশাপাশি প্রদর্শিত হচ্ছে হস্তশিল্প।এছাড়াও,এই কৃষি মেলাকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন মেলার সম্পাদক সজল ধাড়া।নেতাজী প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও জলাদেওড়া থেকে অনুষ্ঠান স্থলপর্যন্ত অনুষ্ঠিত পথদৌড় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এবছর অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে।রয়েছে সঙ্গীত,নৃত্য,নাটক,আলোচনাসভা,লেটো ভাঁড়

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আমতায় রাজ্য উৎসবের সূচনা,পা মেলাল অসংখ্য পড়ুয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি: শ'য়ে শ'য়ে এগিয়ে চলেছে কালোমাথা।সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলা পদযাত্রা থেকে কখনো ভেসে উঠছে 'আর নয় অপচয়,হোক জল সঞ্চয়',কখনো ধ্বনিত হচ্ছে 'বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান' আবার বা 'গাছ লাগান,সবুজ বাঁচান'।বৈচিত্র্যময় ভারত,পানীয় জল অপচয় রোধ,সবুজ বাঁচাও,রক্তদান,ডেঙ্গু প্রতিকারের মতো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বেশ কিছু ভাবনাকে তুলে ধরছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।কোনো স্কুলের পড়ুয়ারা সেজেছে গাছ,কেউ ট্যাবেলো সাজিয়ে নৃত্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছে বৈচিত্র্যময় ঐক্যের ভারতকে।'স্টুডেন্টস হেলথ্ হোম'-এর 'রাজ্য উৎসব-২০২০' এর সূচনা উপলক্ষ্যে আমতা শহরে আয়োজিত বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় এভাবেই সামিল হয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার ২৭ টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০০ ছাত্রছাত্রী। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ব্যান্ড,এন.সি.সি ইউনিটের পাশাপাশি ছিল রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের রণপা নৃত্য।বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়া,শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাড়াও এই শোভাযাত্রায় পা মেলান সিরাজবাটী চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপঙ্কর কোলে,আমতার প্রধান তুষার সিং,বিশিষ্ট চিকিৎসক অমিতাভ ভট্টাচার্য সহ বহু বিশি

হেলমেটহীন সওয়ারীর মাথায় তুলে দেওয়া হল হেলমেট,পথ নিরাপত্তায় এগিয়ে এল জয়পুর থানা

         ঘুমাচ্ছন্ন ড্রাইভার ভাইদের কখনো পুলিশের শীর্ষকর্তারা বাড়িয়ে দিয়েছেন গরম চায়ের কাপ,আবার কখনো বা হেলমেটহীন সওয়ারীর মাথায় পুলিশ তুলে দিয়েছে হেলমেট।রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে 'সেফ ড্রাইভ,সেভ লাইফ' সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের উদ্যোগে জয়পুর থানার পক্ষ থেকে আমতা-২ ব্লকের সেহাগড়ী মোড়ে বিশেষ পথসচেতনতা শিবির অনুষ্ঠিত হল।উক্ত কর্মসূচিতে পথচলতি মানুষকে পথনিরাপত্তা সম্পর্কে বিভিন্ন বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয় হেলমেট। বিভিন্ন গাড়িতে লাগানো হয় পথ সচেতনতার বার্তাবাহী বিশেষ স্টিকার।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল সহ জেলার পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকগণ।পুলিশের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সুকান্ত কুমার পাল বলেন,"একদিকে এই উদ্যোগ যেমন পথনিরাপত্তায় মানুষকে সচেতন করবে,অন্যদিকে পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের যোগসূত্র

সোনামুই ফুটবল কাপের ফাইনালে উপচে পড়ল ভিড়,মহিলাদের উপস্থিতি ছিল পড়ার মতো

নিজস্ব প্রতিনিধি: চরম উত্তেজনা ও উন্মাদনার মধ্য দিয়ে গত একমাস ধরে চলা আমতা-১ ব্লকের সোনামুই ফুটবল ক্লাব আয়োজিত 'এস.এফ.সি  কাপ-১৯'-এর চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হল।দাশনগর এইচ.ভি মুভিজ ১-০ গোলে জয়নগর পল্লী সংঘকে পরাজিত করে।গোল করেন বিদেশী ফুটবলার স্টিফেন।চূড়ান্ত পর্বের ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ফুটবলার রহিম নবি ও সুরাবুদ্দিন মল্লিক। আট দলীয় এই আমন্ত্রণীমূলক টুর্নামেন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা কুনাল চ্যাটার্জী জানান,ফাইনালে বিজয়ী ও বিজিত দলকে যথাক্রমে ২৮ হাজার ও ২২ হাজার টাকা,ফরগুড কাপে সম্মানিত করা হয়।পাশাপাশি রূপোর বুট ও বল দিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার ও সর্বোচ্চ গোলদাতাকে সম্মান জানানো হয়।রহিম নবি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দলের সাথে এই মাঠেই বাংলার প্রাক্তন একঝাঁক উজ্জ্বল ফুটবলারদের মধ্যে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। ফাইনাল উপলক্ষ্যে ছিল নৃত্য,ব্যান্ড,আতসবাজি প্রদর্শনী।কয়েক হাজার মানুষের প্রাণময় উপস্থিতিতে শীতের দুপুর  কলকাকলিমুখর হয় ওঠে সোনামুই ফতে সিং নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের ময়দান প্রাঙ্গণ।

পায়েল,সুদীপ,সূর্যদের গড়া বাগানে ভিড় জমায় ভ্রমরের দল

নিজস্ব প্রতিনিধি: পায়েল,সূর্য,তামান্নারা কেউ টবে মাটি খুঁড়ছে,কেউ জল দিচ্ছে কেউবা আবার সার তৈরিতে ব্যস্ত।বিদ্যালয়ের ছাদজুড়ে সারি সারি মাটির টব।সেখানে বেড়ে উঠছে বিভিন্ন প্রজাতির রঙবেরঙের ফুল।আর সেইসব ফুলের উজ্জ্বলচ্ছটায় প্রাঞ্জল হয়ে উঠেছে বিদ্যালয় চত্বর।শীতের মরসুমে বিদ্যালয়ের ছাদে এমনই দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান গড়ে তুলেছে আমতা-১ ব্লকের সোনামুই ফতে সিং নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।বাগানে প্রায় ১৫০ টি টবে বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা,চন্দ্রমল্লিকা,ডালিয়া,পিটুনিয়া সহ শীতকালীন বিভিন্ন বর্ণময় ফুল শোভাবর্ধন করছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে,বেশ কয়েক বছর ধরে প্রধানত ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহেই এধরণের অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।তার সাথে এগিয়ে আসেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ আব্দুর রহিম,রাজকুমার নস্কর সহ অন্যান্যরা।প্রধান শিক্ষক দয়াময় ভট্টাচার্য বলেন,"সারাবছরই পড়ুয়াদের মধ্যে সবুজ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।তারই অঙ্গস্বরূপ এই উদ্যোগ।এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা নিজে হাতে শিশুস্নেহে গাছকে বড়ো করে তোলে এবং ফুল ফোটায়। ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সবুজের আত্মিক বন্ধন গড়ে

আমতা-রাণীহাটি রোডে খাদে নেমে গেল বাস

নিজস্ব প্রতিনিধি: আমতা-রাণীহাটি রোডে কয়েকদিন আগেই মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন পি.ডব্লু.ডির এক কর্মী,আহত হয়েছিলেন বহু মানুষ।গত কয়েকদিন আগেও সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল আমতা-এয়ারপোর্ট রুটের বাস।আজ সকালে আবারও আমতা-রাণীহাটি রোডের দশ নম্বর পুল ও মানিকপীরের মাঝে নয়ানজুলিতে নেমে গেল আমতা-এয়ারপোর্ট রুটের একটি বাস।হতাহতের কোনো খবর নেই।

আমতার বুকে শিল্পকলা উৎসব

পৃথ্বীশরাজ কুন্তী: গুজারপুর কৃষ্টি আর্ট একাডেমির উদ্যোগে আমতা পীতাম্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত হল 'সারা জেলা শিল্পকলা উৎসব-২০২০'।এই উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় বসে আঁকো প্রতিযোগিতার।৪ টি বিভাগে অংশ নেয় প্রায় ৪৫০ জন প্রতিযোগী।প্রকাশিত হয় বিশেষ পত্রিকা 'পদক্ষেপ'। আয়োজক সংস্থার পক্ষে শিল্পী অলোক দেয়াটী জানান,শিল্প-সংস্কৃতি--সাহিত্যের উন্মেষ ঘটানোর লক্ষ্যেই এহেন আয়োজন।গুণীজন সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় বলেও তিনি জানান।

অসহায়ের সহায় হয়ে এগিয়ে এলেন বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার।কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে ঘুম থেকে উঠেই সৌভিক,মানস,কৃষ্ণা,সুরজিৎরা হাজির হয়েছিলেন সাবগাছতলার মোড়ে।তারপর সেখান থেকে এক হয়ে লালমাটির রাস্তা ধরে প্রকৃতির অপরূপ শোভা আর গ্রামীণ মানুষের জীবন সংগ্রামের জ্যান্ত কোলাজকে চাক্ষুষ করতে করতে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন আমতা-২ ব্লকের ঝামটিয়া গ্রামের খালেরপাড়ে।যুবক-যুবতীরা একে একে কুঁড়েঘরে গিয়ে মানুষের গায়ে তুলে দিলেন শীতের কম্বল।সাথে দেওয়া হল ফলের ব্যাগ। ওরা প্রত্যেকেই আমতার উদংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ'-এর সদস্য-সদস্যা।মালদহের হবিবপুর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা,মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের নিয়ামক প্রশান্ত মহাপাত্র,বাঙালপুর জ্যোতির্ময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সাহানা রায় দাস ও শিক্ষিকা অর্পিতা পাঁজার উদ্যোগেই মূলত এহেন আয়োজন।শুভজিৎ জানা বাগনান-১ ব্লকের ভূঁয়েড়া গ্রামের বাসিন্দা।শুভজিৎ কর্মব্যস্ততার কারণে সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও ফুলেশ্বরের বাসিন্দা প্রশান্ত নিজে হাতে শীতার্ত অসহায় মানুষকে কম্বল ও ফল তুলে দেন।আশি বছরের অশীতিপর বৃদ্ধ-

পিকনিকের মরশুমে উৎসবের চেহারা নিয়েছে জেলার উদীয়মান পিকনিক স্পট,আগত মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল শালপাতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: নভেম্বর শেষ হয়ে ডিসেম্বর শুরু হলেই মনের ভিতর জেগে ওঠে চাপা উৎকন্ঠা,শুরু হয় অপেক্ষার প্রহরগোনার পালা।আর সেই উত্তজনাকে সাথে নিয়েই সৈকত,মানস,রোজিনা,কুণালরা ভিড় জমিয়েছে।কেউ এসেছে পরিবারের সাথে,কেউবা বন্ধুদের সাথে আবার বা কোচিং সেন্টারের সাথে।তবে প্রত্যেকেই ভিড় জমিয়েছেন সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,সাফল্য-ব্যর্থতাকে ভুলে একটা দিনের জন্য আনন্দে মেতে উঠতে।একসাথে কোমর বেঁধে রান্না করতে,কিমবা পাতপেড়ে খেতে।কেউ মাঠে ব্যাডমিন্টন নেমেছেন,আবার কেউ নেমেছেন ব্যাটবল নিয়ে।বর্ষবরণের সূচনায় এরকম আট থেকে আশির ভিড়ে উৎসবের চেহারা নিয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার অন্যতম উদীয়মান পিকনিক স্পট আমতা-২ ব্লকের সিয়াগড়ি থেকে সাবগাছতলা পর্যন্ত শটকার্ট চ্যানেল।খালের ধার দিয়ে লালমাটির রাস্তা চলে গিয়েছে।তারপাশে ছোটো ছোটো খড়ের ঘর,সবুজ ক্ষেত আর গ্রাম্য জীবনের জ্যান্ত কোলাজকে চাক্ষুষ করতে পিকনিকে ভিড় জমাচ্ছেন শহরাঞ্চলেরও বহু মানুষ।বছরের প্রথম দিনই এই শটকার্ট চ্যানেলের দু'ধারে ভিড় জমিয়েছিল প্রায় ৩০০ টি পিকনিকের দল।কিন্তু,সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বারবার থার্মোকলের পরিবর্তে পরিবেশবান