পিকনিকের মরশুমে উৎসবের চেহারা নিয়েছে জেলার উদীয়মান পিকনিক স্পট,আগত মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল শালপাতা
নিজস্ব প্রতিনিধি: নভেম্বর শেষ হয়ে ডিসেম্বর শুরু হলেই মনের ভিতর জেগে ওঠে চাপা উৎকন্ঠা,শুরু হয় অপেক্ষার প্রহরগোনার পালা।আর সেই উত্তজনাকে সাথে নিয়েই সৈকত,মানস,রোজিনা,কুণালরা ভিড় জমিয়েছে।কেউ এসেছে পরিবারের সাথে,কেউবা বন্ধুদের সাথে আবার বা কোচিং সেন্টারের সাথে।তবে প্রত্যেকেই ভিড় জমিয়েছেন সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্না,সাফল্য-ব্যর্থতাকে ভুলে একটা দিনের জন্য আনন্দে মেতে উঠতে।একসাথে কোমর বেঁধে রান্না করতে,কিমবা পাতপেড়ে খেতে।কেউ মাঠে ব্যাডমিন্টন নেমেছেন,আবার কেউ নেমেছেন ব্যাটবল নিয়ে।বর্ষবরণের সূচনায় এরকম আট থেকে আশির ভিড়ে উৎসবের চেহারা নিয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার অন্যতম উদীয়মান পিকনিক স্পট আমতা-২ ব্লকের সিয়াগড়ি থেকে সাবগাছতলা পর্যন্ত শটকার্ট চ্যানেল।খালের ধার দিয়ে লালমাটির রাস্তা চলে গিয়েছে।তারপাশে ছোটো ছোটো খড়ের ঘর,সবুজ ক্ষেত আর গ্রাম্য জীবনের জ্যান্ত কোলাজকে চাক্ষুষ করতে পিকনিকে ভিড় জমাচ্ছেন শহরাঞ্চলেরও বহু মানুষ।বছরের প্রথম দিনই এই শটকার্ট চ্যানেলের দু'ধারে ভিড় জমিয়েছিল প্রায় ৩০০ টি পিকনিকের দল।কিন্তু,সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বারবার থার্মোকলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহারের অনুরোধ জানালেও মানুষ সেভাবে সচেতন হননি।৩০০ টি পিকনিক দলের মধ্যে অধিকাংশই থার্মোকলের থালা এনেছিলেন।আমতা-২ ব্লকের বুকে সদ্য গড়ে ওঠা এই নতুন পিকনিক স্পটে আগত বিভিন্ন পিকনিকের দলের সদস্যদের হাতে শালপাতা তুলে দেয় স্থানীয় বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল।তিনি নিজে হাতে পিকনিকে আগত মানুষের হাতে শালপাতা তুলে দিয়ে জনমানসে পরিবেশ সচেতনতার শুভবার্তা পৌঁছে দেন।সুকান্ত বাবু জানান,"সামাজিক সচেতনতায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি অংশগ্রহণ করলে অনেক বেশী সাফল্য পাওয়া যায় । সামাজিক ভাবে সমস্ত সংগঠন এই ভাবে এগিয়ে এলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে ও সমাজ উপকৃত হবে।"
Comments
Post a Comment