নিজস্ব প্রতিনিধি: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার।কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে ঘুম থেকে উঠেই সৌভিক,মানস,কৃষ্ণা,সুরজিৎরা হাজির হয়েছিলেন সাবগাছতলার মোড়ে।তারপর সেখান থেকে এক হয়ে লালমাটির রাস্তা ধরে প্রকৃতির অপরূপ শোভা আর গ্রামীণ মানুষের জীবন সংগ্রামের জ্যান্ত কোলাজকে চাক্ষুষ করতে করতে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন আমতা-২ ব্লকের ঝামটিয়া গ্রামের খালেরপাড়ে।যুবক-যুবতীরা একে একে কুঁড়েঘরে গিয়ে মানুষের গায়ে তুলে দিলেন শীতের কম্বল।সাথে দেওয়া হল ফলের ব্যাগ।ওরা প্রত্যেকেই আমতার উদংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ'-এর সদস্য-সদস্যা।মালদহের হবিবপুর ব্লকের বিডিও শুভজিৎ জানা,মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের নিয়ামক প্রশান্ত মহাপাত্র,বাঙালপুর জ্যোতির্ময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সাহানা রায় দাস ও শিক্ষিকা অর্পিতা পাঁজার উদ্যোগেই মূলত এহেন আয়োজন।শুভজিৎ জানা বাগনান-১ ব্লকের ভূঁয়েড়া গ্রামের বাসিন্দা।শুভজিৎ কর্মব্যস্ততার কারণে সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও ফুলেশ্বরের বাসিন্দা প্রশান্ত নিজে হাতে শীতার্ত অসহায় মানুষকে কম্বল ও ফল তুলে দেন।আশি বছরের অশীতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা দু'হাত ভরে আশীর্বাদ করলেন।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা পৃথ্বীশরাজ কুন্তী জানান,তাঁদের সংগঠন গ্রামীণ হাওড়ার প্রান্তিক পড়ুয়াদের নিয়ে কাজ করে।তবে শীতে বহু মানুষের কম্বল প্রয়োজন হয়।তাই শীতব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচি তাঁরা নিয়েছেন।এদিন মোট ৫০ টি কম্বল তুলে দেওয়া হয় বলে পৃথ্বীশ জানান।
ড.ব্লু.সি.এস অফিসার প্রশান্তর কথায়,সমাজের বহু প্রান্তিক মানুষ এই শীতে অসহায় হয়ে দিনযাপন করেন।তাই এই ধরনের কর্মসূচি তিনি গ্রহণ করেছেন।প্রশান্তের স্ত্রী পেশায় শিক্ষিকা স্বাতী মন্ডল মহাপাত্রকে কাছে পেয়ে রূপসী,রোহিত,সঞ্চয়িতারা তাঁর কাছে আব্দার করল জ্যামিতি বক্স,কেডস,চার্জার লাইটের মতো সামগ্রীর।স্বাতী সেগুলি দ্রুত পূরণ করার আশ্বাস দেন।স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির সম্পাদক তাপস পালের কথায়,তাঁরা যেহেতু শিক্ষার উপর কাজ করছেন তাই কম্বল প্রদানের সাথে সাথে ওইসমস্ত বাড়ির ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকতে তাঁরা চেষ্টা করবেন।কেউ নবম শ্রেণীর বইয়ের কথা বলেছেন,আবার কেউ জানিয়েছে খাতা ও পেনের কথা।দ্রুত তাঁদের প্রতিনিধিরা গিয়ে সেই সমস্ত সামগ্রী সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
Comments
Post a Comment