Skip to main content

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আমতায় রাজ্য উৎসবের সূচনা,পা মেলাল অসংখ্য পড়ুয়া


নিজস্ব প্রতিনিধি: শ'য়ে শ'য়ে এগিয়ে চলেছে কালোমাথা।সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে চলা পদযাত্রা থেকে কখনো ভেসে উঠছে 'আর নয় অপচয়,হোক জল সঞ্চয়',কখনো ধ্বনিত হচ্ছে 'বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান' আবার বা 'গাছ লাগান,সবুজ বাঁচান'।বৈচিত্র্যময় ভারত,পানীয় জল অপচয় রোধ,সবুজ বাঁচাও,রক্তদান,ডেঙ্গু প্রতিকারের মতো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বেশ কিছু ভাবনাকে তুলে ধরছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।কোনো স্কুলের পড়ুয়ারা সেজেছে গাছ,কেউ ট্যাবেলো সাজিয়ে নৃত্যের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছে বৈচিত্র্যময় ঐক্যের ভারতকে।'স্টুডেন্টস হেলথ্ হোম'-এর 'রাজ্য উৎসব-২০২০' এর সূচনা উপলক্ষ্যে আমতা শহরে আয়োজিত বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় এভাবেই সামিল হয়েছে গ্রামীণ হাওড়ার ২৭ টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০০ ছাত্রছাত্রী।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ব্যান্ড,এন.সি.সি ইউনিটের পাশাপাশি ছিল রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের রণপা নৃত্য।বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়া,শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাড়াও এই শোভাযাত্রায় পা মেলান সিরাজবাটী চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপঙ্কর কোলে,আমতার প্রধান তুষার সিং,বিশিষ্ট চিকিৎসক অমিতাভ ভট্টাচার্য সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।উৎসব কমিটির সম্পাদক বিমল সেনগুপ্ত জানান,কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর ১৯৫২ সালে তাঁর বেশ কিছু বন্ধু ছাত্র ছাত্রীদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় 'স্টুডেন্টস হেলথ হোম' নামক এই সংগঠন গড়ে তোলেন।মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে পড়ুয়ারা সুচিকিৎসা পেয়ে থাকেন এই সংস্থার পক্ষ থেকে।সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে সারাবছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রে নৃত্য,সংগীত,ক্যুইজ,বিতর্কের মতো একাধিক ইভেন্টের আয়োজন করে এই সংগঠন।মূলত তারই ভিত্তিতে বাছাই করা প্রতিযোগীদের নিয়েই প্রতিবছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য উৎসব আয়োজিত হয়।এবার সেই আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছে আমতা আঞ্চলিক কেন্দ্র।আমতা আঞ্চলিক কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনাতেই ২২ ও ২৩ শে জানুয়ারী রাজ্যস্তরীয় এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে আমতা-১ ব্লকের আমতা পীতাম্বর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা শিক্ষক অলোক চন্দ্র চন্দ্র জানান,এই উৎসবে রাজ্যের ২৫ টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের ৫১৯ জন প্রতিযোগী মোট ২৯ টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করছেন।তিনি আরও জানান,রাজ্য উৎসবের মুক্ত মঞ্চে অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট চিত্রপরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়,স্থানীয় বিধায়ক তথা রাষ্ট্রমন্ত্রী নির্মল মাজি,আমতা-১ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক লোকনাথ সরকার,বিশিষ্ট চিকিৎসক পবিত্র গোস্বামী সহ প্রমুখ।
পদযাত্রায় ব্যান্ড হাতে অংশ নিয়েছিল সোনামুই ফতে সিং নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া সায়ন কাঁড়ার।সায়নের কথায়,"এই ধরনের মহৎ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে অত্যন্ত ভালো লাগছে।" আবার,শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া আমতা নিত্যানন্দ উচ্চ  বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বৈশাখী মাজি বলেন,এই উদ্যোগ পড়ুয়াদের মধ্যে সুস্থ সংস্কৃতিবোধ গড়ে তুলতে সদর্থক ভূমিকা নেবে।আমতা পীতাম্বর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে আমতা থানা হয়ে পদযাত্রাটি ফিরে আসে উক্ত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।এই বৃহৎ শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে আমতা থানার পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

Comments

Popular posts from this blog

সবুজ সচেতনতায় অভিনব পদক্ষেপ শ্যামপুরের স্কুলে,পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ পেন

নিজস্ব প্রতিনিধি: দূষণের ফলে একদিকে যেমন  গলছে বরফ,বাড়ছে তাপমাত্র,তেমনই রাজধানী দিল্লি ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশায়।এই দানবীয় শক্তির মূলে কুঠারাঘাত হানতে না পারলে অনতিদূরেই অপেক্ষা করছে ঘোরতর বিপদ।আর এই দানবীয় শক্তিকে রোধ করতে প্রয়োজন সবুজের।সবুজ রোপণ ও তার সঠিক পরিচর্যার।আর সেই বার্তাই নব প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিল শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ।বিদ্যালয় কর্ত্তৃপক্ষের তরফে প্রায় ৩০০ পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ ধরনের পেন যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গাছের বীজ।পেন ব্যবহারের পর তা ফেলে দিলে সেই বীজ মাটিতে পরে গাছ সৃষ্টি হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুচন্দ্রিমা সেনগুপ্ত। তিনি আরও জানান,পেনগুলি তৈরি করেছে শ্যামপুরের 'আলোর দিশা' নামক একটি সংস্থা।বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পেন তুলে দেন স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমিত দাস।এর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই স্থানীয় বাজারে কাগজের ঠোঙায় বীজ দিয়ে তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত এই অভিনব পদক্ষেপ

এক টুকরো শান্তির নীড়ে চলছে পাঠদান,সবুজের সমারোহে সেজে উঠেছে গ্রামীণ হাওড়ার নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ

পৃথ্বীশরাজ কুন্তী: নীলসাদা বিল্ডিংগুলি যেন একটুকরো শান্তির নীড়,আর তার মধ্যে প্রাণের স্ফুরণ ঘটাচ্ছে নবপ্রজন্মের তরতাজা প্রাণগুলো।শিক্ষাঙ্গন হোক মুক্তাঙ্গন।শিক্ষার সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত স্বাস্থ্য।তাই শিক্ষাঙ্গনে স্বাস্থ্যকর সবুজ নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা আবশ্যক।আর সেই ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েই বিদ্যালয়কে পড়ুয়াদের কাছে মুক্তাঙ্গন রূপে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ অভিনব ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ। বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করার সময়ই অদ্ভুত সুন্দর ভালোলাগা তৈরি হয়ে যাবে বিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক নীরব সবুজ পরিবেশে।মুহুর্তের মধ্যেই যে কেউ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রেমে পরবে তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়।না শুধু বিদ্যালয় চত্বর জুড়ে অনন্যসুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলাই নয়,সমানতালে বিভিন্ন সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বিদ্যালয় চত্বরজুড়ে।জল সংরক্ষণের ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে উঠেছে বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারের বিশেষ ব্যবস্থা।  পাশাপাশি,২-৩ ফুট গর্ত করে সেখানে সোকপিট করে তৈরি  হয়েছে ভৌমজল সঞ্চয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।পড়ুয়াদের

বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণ রক্ষায় রাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষও ক্রমে সচেতন হচ্ছেন।এবার বন্যপ্রাণ রক্ষায় সরাসরি এগিয়ে এলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল।জানা গেছে,আজ আমতা-২ ব্লকের নারিট থেকে কুশবেড়িয়ায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে নারিট-কুশবেড়িয়া রোডের তেগেছিয়ার কাছে রাস্তায় একটি পেঁচাকে পরে থাকতে দেখেন তিনি। পেঁচাটির শরীরে সামান্য আঘাতও ছিল।তৎক্ষনাৎ সুকান্ত বাবু নিজের গাড়িতে পেঁচাটিকে তুলে নেন।তিনি ও তাঁর সহযাত্রী অভিজিৎ প্রামাণিক পেঁচাটিকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে এসে বন দপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেন।সুকান্ত পাল বলেন,"বন্যপ্রাণ রক্ষা ও সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।সমাজের সর্বস্তরে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।"