Skip to main content

শীতের আমেজকে সাথে নিয়ে পিকনিকে চলে আসুন আমতার উদং গ্রামে

পৃথ্বীশরাজ কুন্তী: শীতকাল মানেই সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্নাকে ভুলে ছকেবাঁধা জীবনের বাইরে বেড়িয়ে শীতের আমেজকে সঙ্গী করে পরিবার-প্রিয়জনের সাথে চড়ুইভাতিতে মেতে ওঠা।হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন।তারপরই আসতে চলেছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বড়োদিন,নববর্ষ।ভাবছেন সবান্ধবে ও সপরিবারে এবার কোথায় যাবেন পিকনিকে! তাহলে বলব কুয়াশাকে সঙ্গী করে সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়ুন।সোজা চলে আসুন গ্রামীণ হাওড়ার উদং গ্রামে।কিছুটা সময়ের জন্য আপনার অস্থায়ী ঠিকানা হোক দামোদর তীরবর্তী উদং ফুটবল মাঠ(বড়ো মাঠ নামে অধিক পরিচিত)।জমিয়ে আনন্দ করুন।
উপভোগ করুন প্রকৃতির অনন্যসুন্দর সৌন্দর্যকে।ঘুরে দেখুন আশপাশের ফুলকপি,সরিষা সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত;তবে হ্যাঁ সেল্ফির হিড়িকে দয়া করে চাষী ভাইয়ের পরিশ্রমকে নষ্ট করবেন না।বেলার টিফিন সেরেই হাঁটাপথে গন্তব্য হোক কাছেই থাকা হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটনক্ষেত্র উদং কালীমাতা আশ্রম।নিশ্চিতভাবে আশ্রমের শান্ত,নীরব প্রাঞ্জল পরিবেশ আপনার মনকে প্রশান্তি দেবে যে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

খেয়া পার করে ঘুরে দেখতে পারেন আমতা-২ ব্লকের তাজপুর।তারপর ফিরে এসে মাঠে ফুটবল কিমবা ব্যাটবল হাতে নেমে যান।তারপর,পাতে গরম গরম ভাত আর...।অবশেষে,পড়ন্ত দুপুরে সূর্য যখন অস্তাচলে,মাঠ যখন ঢাকতে শুরু করবে হালকা কুয়াশায়,তখন কফির কাপে চুমুক দিয়ে আবারও ফিরে যেতে হবে নিত্যদিনের ডেরায়।

আর হ্যাঁ,অবশ্যই মনে রাখতে হবে থার্মোকল,ডিজে ব্যবহার করব না,যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলব না।আমার আপনার আনন্দ অপরের কাছে দুঃখ যেন না হয়ে ওঠে...

তাই আর বেশি দেরী না করে,বানিয়ে নিন প্ল্যান,সোজা পাড়ি দিয়ে দিন আমতা-১ ব্লকের উদং গ্রাম।



★পথনির্দেশ: রাণীহাটি>আমতা/বাগনান>ফতেপুর>ফতেপুর ফুটবল মাঠ(১০ মিনিটের পথ)

★আপনাদের সুবিধার্থে রইল গুগুল ম্যাপের লিঙ্ক:-
 https://maps.app.goo.gl/7KhbnsLiKQMFg1d47

Comments

Popular posts from this blog

সবুজ সচেতনতায় অভিনব পদক্ষেপ শ্যামপুরের স্কুলে,পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ পেন

নিজস্ব প্রতিনিধি: দূষণের ফলে একদিকে যেমন  গলছে বরফ,বাড়ছে তাপমাত্র,তেমনই রাজধানী দিল্লি ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশায়।এই দানবীয় শক্তির মূলে কুঠারাঘাত হানতে না পারলে অনতিদূরেই অপেক্ষা করছে ঘোরতর বিপদ।আর এই দানবীয় শক্তিকে রোধ করতে প্রয়োজন সবুজের।সবুজ রোপণ ও তার সঠিক পরিচর্যার।আর সেই বার্তাই নব প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিল শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ।বিদ্যালয় কর্ত্তৃপক্ষের তরফে প্রায় ৩০০ পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ ধরনের পেন যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গাছের বীজ।পেন ব্যবহারের পর তা ফেলে দিলে সেই বীজ মাটিতে পরে গাছ সৃষ্টি হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুচন্দ্রিমা সেনগুপ্ত। তিনি আরও জানান,পেনগুলি তৈরি করেছে শ্যামপুরের 'আলোর দিশা' নামক একটি সংস্থা।বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পেন তুলে দেন স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমিত দাস।এর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই স্থানীয় বাজারে কাগজের ঠোঙায় বীজ দিয়ে তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত এই অভিনব পদক্ষেপ...

এক টুকরো শান্তির নীড়ে চলছে পাঠদান,সবুজের সমারোহে সেজে উঠেছে গ্রামীণ হাওড়ার নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ

পৃথ্বীশরাজ কুন্তী: নীলসাদা বিল্ডিংগুলি যেন একটুকরো শান্তির নীড়,আর তার মধ্যে প্রাণের স্ফুরণ ঘটাচ্ছে নবপ্রজন্মের তরতাজা প্রাণগুলো।শিক্ষাঙ্গন হোক মুক্তাঙ্গন।শিক্ষার সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত স্বাস্থ্য।তাই শিক্ষাঙ্গনে স্বাস্থ্যকর সবুজ নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা আবশ্যক।আর সেই ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েই বিদ্যালয়কে পড়ুয়াদের কাছে মুক্তাঙ্গন রূপে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ অভিনব ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ। বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করার সময়ই অদ্ভুত সুন্দর ভালোলাগা তৈরি হয়ে যাবে বিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক নীরব সবুজ পরিবেশে।মুহুর্তের মধ্যেই যে কেউ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রেমে পরবে তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়।না শুধু বিদ্যালয় চত্বর জুড়ে অনন্যসুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলাই নয়,সমানতালে বিভিন্ন সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বিদ্যালয় চত্বরজুড়ে।জল সংরক্ষণের ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে উঠেছে বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারের বিশেষ ব্যবস্থা।  পাশাপাশি,২-৩ ফুট গর্ত করে সেখানে সোকপিট করে তৈরি  হয়েছে ভৌমজল সঞ্চয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা...

বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণ রক্ষায় রাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষও ক্রমে সচেতন হচ্ছেন।এবার বন্যপ্রাণ রক্ষায় সরাসরি এগিয়ে এলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল।জানা গেছে,আজ আমতা-২ ব্লকের নারিট থেকে কুশবেড়িয়ায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে নারিট-কুশবেড়িয়া রোডের তেগেছিয়ার কাছে রাস্তায় একটি পেঁচাকে পরে থাকতে দেখেন তিনি। পেঁচাটির শরীরে সামান্য আঘাতও ছিল।তৎক্ষনাৎ সুকান্ত বাবু নিজের গাড়িতে পেঁচাটিকে তুলে নেন।তিনি ও তাঁর সহযাত্রী অভিজিৎ প্রামাণিক পেঁচাটিকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে এসে বন দপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেন।সুকান্ত পাল বলেন,"বন্যপ্রাণ রক্ষা ও সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।সমাজের সর্বস্তরে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।"