Skip to main content

সৌহার্দ্যের বার্তা নিয়ে আমতার তাজপুরে শুরু হল সম্প্রীতি উৎসব

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভিড় জমিয়েছেন সাইফুল,গোলাম,রমা,তাপসের মতো কয়েকশো শিশু-যুব-নারী।মঞ্চে কখনো উপস্থাপিত হচ্ছে শ্রীখোল,আবার কখনো বেজে উঠছে বাঁশির সুরধ্বনি।এমনই এক সুস্থ সাংস্কৃতিক আবহের মধ্যে দিয়ে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সংহতির আলিঙ্গনে আবদ্ধ করতে আমতা সম্প্রীতি উৎসব কমিটির উদ্যোগে আমতা-২ ব্লকের তাজপুর এম.এন রায় ইন্সটিটিউশান প্রাঙ্গণে শুরু হল তিনদিনব্যাপী 'আমতা সম্প্রীতি উৎসব'।চলবে ২৯ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত।তিনদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আদিবাসী নৃত্য,বিভিন্ন প্রাদেশিক নৃত্য,লোকগীতির আসর,বাংলা সঙ্গীত জগতের একঝাঁক উজ্জ্বল তারকার সঙ্গীতানুষ্ঠান।গানের ডালি নিয়ে উপস্থিত থাকবেন প্রখ্যাত গায়ক সিধু।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পুলক রায়,প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী,হাওড়া জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য,হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায়,রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার সহ শিক্ষা ও সংস্কৃতি জগতের বহু বিদগ্ধজন।উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে বিধায়ক পুলক রায় বলেন,কিছু অশুভ শক্তি ভারতের গৌরবময়কে ঐতিহ্যে আঘাত হানার চেষ্টা করছে।কিন্তু কখনোই তা হতে দেবেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।এর পাশাপাশি উৎসব চত্বরে আয়োজিত হয়েছে কৃষি প্রদর্শনীর।তাজপুর,সারদা সহ আশাপাশের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা তাঁদের ফলানো ফসল জমা দিয়েছেন প্রদর্শনীতে।ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাধারণ মানুষকে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে অনুষ্ঠান চত্বর থেকে।সম্প্রীতি উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে 'দিন যাপনের কবিতা' নামক বিশেষ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচিত হয়।পাশের ব্লক আমতা-১ থেকে সম্প্রীতি উৎসবে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক মেউর।তাঁর কথায়,যখন বিশ্বজুড়ে হিংসা,দ্বেষ,লালসা আর হানাহানি সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এই ধরনের আয়োজন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উৎসব প্রাঙ্গন থেকে মানুষের হাতে ডিজিটাল রেশন কার্ড তুলে দেওয়া হয়।উৎসবের মুখ্য আহ্বায়ক তথা আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল বলেন,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি,জাতীয় সংহতি,সুস্থ সংস্কৃতির লক্ষ্যে এই আয়োজন।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এউ অনুষ্ঠানের প্রতি শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন বলেও তিনি জানান।বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসা বিভিন্ন লোকসংস্কৃতি ও বিভিন্ন প্রাদেশিক সংস্কৃতিকে চাক্ষুষ করতে ৮ ম বর্ষের এই উৎসবে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামীণ হাওড়ার বহু মানুষ।

Comments

Popular posts from this blog

সবুজ সচেতনতায় অভিনব পদক্ষেপ শ্যামপুরের স্কুলে,পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ পেন

নিজস্ব প্রতিনিধি: দূষণের ফলে একদিকে যেমন  গলছে বরফ,বাড়ছে তাপমাত্র,তেমনই রাজধানী দিল্লি ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশায়।এই দানবীয় শক্তির মূলে কুঠারাঘাত হানতে না পারলে অনতিদূরেই অপেক্ষা করছে ঘোরতর বিপদ।আর এই দানবীয় শক্তিকে রোধ করতে প্রয়োজন সবুজের।সবুজ রোপণ ও তার সঠিক পরিচর্যার।আর সেই বার্তাই নব প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিল শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ।বিদ্যালয় কর্ত্তৃপক্ষের তরফে প্রায় ৩০০ পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ ধরনের পেন যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গাছের বীজ।পেন ব্যবহারের পর তা ফেলে দিলে সেই বীজ মাটিতে পরে গাছ সৃষ্টি হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুচন্দ্রিমা সেনগুপ্ত। তিনি আরও জানান,পেনগুলি তৈরি করেছে শ্যামপুরের 'আলোর দিশা' নামক একটি সংস্থা।বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পেন তুলে দেন স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমিত দাস।এর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই স্থানীয় বাজারে কাগজের ঠোঙায় বীজ দিয়ে তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত এই অভিনব পদক্ষেপ

এক টুকরো শান্তির নীড়ে চলছে পাঠদান,সবুজের সমারোহে সেজে উঠেছে গ্রামীণ হাওড়ার নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ

পৃথ্বীশরাজ কুন্তী: নীলসাদা বিল্ডিংগুলি যেন একটুকরো শান্তির নীড়,আর তার মধ্যে প্রাণের স্ফুরণ ঘটাচ্ছে নবপ্রজন্মের তরতাজা প্রাণগুলো।শিক্ষাঙ্গন হোক মুক্তাঙ্গন।শিক্ষার সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত স্বাস্থ্য।তাই শিক্ষাঙ্গনে স্বাস্থ্যকর সবুজ নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা আবশ্যক।আর সেই ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েই বিদ্যালয়কে পড়ুয়াদের কাছে মুক্তাঙ্গন রূপে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ অভিনব ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ। বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করার সময়ই অদ্ভুত সুন্দর ভালোলাগা তৈরি হয়ে যাবে বিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক নীরব সবুজ পরিবেশে।মুহুর্তের মধ্যেই যে কেউ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রেমে পরবে তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়।না শুধু বিদ্যালয় চত্বর জুড়ে অনন্যসুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলাই নয়,সমানতালে বিভিন্ন সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বিদ্যালয় চত্বরজুড়ে।জল সংরক্ষণের ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে উঠেছে বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারের বিশেষ ব্যবস্থা।  পাশাপাশি,২-৩ ফুট গর্ত করে সেখানে সোকপিট করে তৈরি  হয়েছে ভৌমজল সঞ্চয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।পড়ুয়াদের

বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণ রক্ষায় রাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষও ক্রমে সচেতন হচ্ছেন।এবার বন্যপ্রাণ রক্ষায় সরাসরি এগিয়ে এলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল।জানা গেছে,আজ আমতা-২ ব্লকের নারিট থেকে কুশবেড়িয়ায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে নারিট-কুশবেড়িয়া রোডের তেগেছিয়ার কাছে রাস্তায় একটি পেঁচাকে পরে থাকতে দেখেন তিনি। পেঁচাটির শরীরে সামান্য আঘাতও ছিল।তৎক্ষনাৎ সুকান্ত বাবু নিজের গাড়িতে পেঁচাটিকে তুলে নেন।তিনি ও তাঁর সহযাত্রী অভিজিৎ প্রামাণিক পেঁচাটিকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে এসে বন দপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেন।সুকান্ত পাল বলেন,"বন্যপ্রাণ রক্ষা ও সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।সমাজের সর্বস্তরে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।"