Skip to main content

মানুষের দ্বারে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি,শুনলেন জনতার অভাব-অভিযোগ,মিলল সমাধানসূত্রও

নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড় থেকে সমতল,সুন্দরবন থেকে জঙ্গলমহল সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষের সাথে জন প্রতিনিধিদের জনসংযোগ বাড়াতে ও মানুষের অভাব-অভিযোগ পূরণের লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তৃণমূলস্তরে শুরু হয়েছে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি।তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সহ ব্লক ও জেলাস্তরের নেতারা মানুষের দাবিদাওয়ার কথা শুনতে সটান হাজির হয়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের বাড়ির উঠানে।তাঁরা মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনে তা প্রশাসনিক স্তরে জানাচ্ছেন।তার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের হাতে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ফোন নাম্বারসহ ভিজিটিং কার্ড,সাধারণ মানুষ ফোন করছেন সেই হেল্পলাইন নাম্বারে।বহু মানুষের সমস্যারও সমাধান সূত্র মিলছে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচির হাত ধরে।মূলত,ভারতবিশ্রুত নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা 'আইপ্যাক' মানুষের অভাব,অভিযোগ টেলিফোনে শুনে তা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করছে।

কার্ত্তিকের দুপুরে হাল্কা শীতের আমেজকে গায়ে মেখে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে গেলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল।শুধু সুকান্ত বাবুই নন তাঁর সাথে পা মেলালেন কয়েকশো যুব ও নারী।কুশবেড়িয়া গ্রামের উত্তর থেকে দক্ষিণ,পূর্ব থেকে পশ্চিম ঘুরে শুনলেন মানুষের অভাব-অভিযোগ,চাওয়া-পাওয়ার কথা।কখনো বাড়ির উঠানে মাদুরে বসে,বা চা'দোকানে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে শুনলেন দাবিদাওয়ার কথা।কখনো পাড়ার মোড়ে চেয়ার টেবিল নিয়ে খুলে বসলেন জনতার দরবার।উল্লেখ্য,আমতা-২ ব্লকের শিক্ষা-সংস্কৃতি-ক্রীড়া সহ সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে সুকান্ত বাবু সভাপতি হওয়ার অনেক আগে থেকেই কাজ করে চলেছেন।কাজের মানুষ হিসাবে অনেক আগেই মিলেছে 'জাতীয় যুব'-এর স্বীকৃতি।কাজের মানুষ হিসাবে শুধু ব্লক নয়, জেলাস্তরেও তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে।তাই কাজের মানুষকে হাতের নাগালে পেয়ে কুশবেড়িয়া গ্রামের কুড়ি থেকে ষাটোর্ধ্ব সকলেই উজাড় করে কাজের ফিরিস্তি শোনালেন।রাস্তার পাশের টিউবওয়েলে জল আনতে যাওয়া ফতেমা বিবি সভাপতিকে শোনালেন রাস্তা তৈরির কথা,আবার পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে উঠে এসে অশোক বাবু স্থানীয় শ্মশান চুল্লির উন্নয়নের অনুরোধ করলেন।চলার পথে সত্তোরোর্ধ্ব ঠাকুমা ত্রিপলের কথা জানালে সাথে সাথেই ব্যবস্থা করে দেন ত্রিপলের।এর পাশাপাশি বহু মানুষ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প সংক্রান্ত কথাও শোনালেন।

সভাপতি মন দিয়ে অভিযোগ শোনার পাশাপাশি ছোট্ট ডায়েরিতে নোট করার কাজটিও সমানভাবে চালিয়ে গেলেন।সুকান্ত বাবু জানান,আমরা মানুষের অভাব,অভিযোগের কথা শুনছি।তা খুব শীঘ্রই মেটানোর জন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।তার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলেও জানানো হবে।এমনকি জনতার দরবারেই বহু সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।স্থানীয় মানুষের দাবিদাওয়া শোনার পাশাপাশি তিনি গ্রামের পাঁচজন বিশেষ ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ করে স্থানীয় এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁদের পরামর্শ গ্রহণ করেন।

গ্রাম প্রদক্ষিণের সময় মানুষের হাতে 'দিদিকে বলো'-এর বিশেষ ভিজিটিং কার্ড তুলে দেওয়া হয়।'দিদিকে বলো' কর্মসূচির মাধ্যমে এভাবেই মানুষের সাথে,মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের শুভবার্তা পৌঁছে দিলেন গ্রামীণ হাওড়ার এই লড়াকু যুব নেতা।

Comments

Popular posts from this blog

সবুজ সচেতনতায় অভিনব পদক্ষেপ শ্যামপুরের স্কুলে,পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ পেন

নিজস্ব প্রতিনিধি: দূষণের ফলে একদিকে যেমন  গলছে বরফ,বাড়ছে তাপমাত্র,তেমনই রাজধানী দিল্লি ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশায়।এই দানবীয় শক্তির মূলে কুঠারাঘাত হানতে না পারলে অনতিদূরেই অপেক্ষা করছে ঘোরতর বিপদ।আর এই দানবীয় শক্তিকে রোধ করতে প্রয়োজন সবুজের।সবুজ রোপণ ও তার সঠিক পরিচর্যার।আর সেই বার্তাই নব প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিল শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ।বিদ্যালয় কর্ত্তৃপক্ষের তরফে প্রায় ৩০০ পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ ধরনের পেন যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গাছের বীজ।পেন ব্যবহারের পর তা ফেলে দিলে সেই বীজ মাটিতে পরে গাছ সৃষ্টি হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুচন্দ্রিমা সেনগুপ্ত। তিনি আরও জানান,পেনগুলি তৈরি করেছে শ্যামপুরের 'আলোর দিশা' নামক একটি সংস্থা।বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পেন তুলে দেন স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমিত দাস।এর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই স্থানীয় বাজারে কাগজের ঠোঙায় বীজ দিয়ে তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত এই অভিনব পদক্ষেপ

এক টুকরো শান্তির নীড়ে চলছে পাঠদান,সবুজের সমারোহে সেজে উঠেছে গ্রামীণ হাওড়ার নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ

পৃথ্বীশরাজ কুন্তী: নীলসাদা বিল্ডিংগুলি যেন একটুকরো শান্তির নীড়,আর তার মধ্যে প্রাণের স্ফুরণ ঘটাচ্ছে নবপ্রজন্মের তরতাজা প্রাণগুলো।শিক্ষাঙ্গন হোক মুক্তাঙ্গন।শিক্ষার সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত স্বাস্থ্য।তাই শিক্ষাঙ্গনে স্বাস্থ্যকর সবুজ নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা আবশ্যক।আর সেই ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েই বিদ্যালয়কে পড়ুয়াদের কাছে মুক্তাঙ্গন রূপে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ অভিনব ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ। বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করার সময়ই অদ্ভুত সুন্দর ভালোলাগা তৈরি হয়ে যাবে বিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক নীরব সবুজ পরিবেশে।মুহুর্তের মধ্যেই যে কেউ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রেমে পরবে তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়।না শুধু বিদ্যালয় চত্বর জুড়ে অনন্যসুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলাই নয়,সমানতালে বিভিন্ন সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বিদ্যালয় চত্বরজুড়ে।জল সংরক্ষণের ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে উঠেছে বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারের বিশেষ ব্যবস্থা।  পাশাপাশি,২-৩ ফুট গর্ত করে সেখানে সোকপিট করে তৈরি  হয়েছে ভৌমজল সঞ্চয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।পড়ুয়াদের

বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণ রক্ষায় রাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষও ক্রমে সচেতন হচ্ছেন।এবার বন্যপ্রাণ রক্ষায় সরাসরি এগিয়ে এলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল।জানা গেছে,আজ আমতা-২ ব্লকের নারিট থেকে কুশবেড়িয়ায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে নারিট-কুশবেড়িয়া রোডের তেগেছিয়ার কাছে রাস্তায় একটি পেঁচাকে পরে থাকতে দেখেন তিনি। পেঁচাটির শরীরে সামান্য আঘাতও ছিল।তৎক্ষনাৎ সুকান্ত বাবু নিজের গাড়িতে পেঁচাটিকে তুলে নেন।তিনি ও তাঁর সহযাত্রী অভিজিৎ প্রামাণিক পেঁচাটিকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে এসে বন দপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেন।সুকান্ত পাল বলেন,"বন্যপ্রাণ রক্ষা ও সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।সমাজের সর্বস্তরে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।"