Skip to main content

সোনামুইয়ে অনুষ্ঠিত হল খড়দহ অঞ্চলের বার্ষিক প্রাইমারি স্কুল স্পোর্টস

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদ্যালয় মানে কেবল শিক্ষাঙ্গন নয়,বিদ্যালয়ে শিক্ষার পাশাপাশি পড়ুয়াদের শারীরিক বিকাশের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের কয়েক হাজার বিদ্যালয়ে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।সেরকমই শীতের শুরুতেই আমতা-১ ব্লকের সোনামুই ফতে সিং নাহার উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত হল খড়দহ অঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন,খড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ ১১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের মোট ১৬০ জন ছাত্রছাত্রী এই ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অংশ নেয়।৭৫,১০০,২০০ মিটার দৌড়,আলুদৌড়,দীর্ঘ লম্ফন, উচ্চ লম্ফন,হাঁড়ি ভাঙা,জিমনাস্টিকের মতো বিভিন্ন ইভেন্ট ছিল এই প্রতিযোগিতায়।আয়োজক অরুণ খাঁ,সুমন্ত সাউ,দূর্বাদল ভৌমিকের মতো শিক্ষকরা জানান,মূলত খড়দহ পঞ্চায়েত এলাকার শিক্ষক-শিক্ষিকারা পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় এই আয়োজন করেন।
এছাড়াও,সোনামুই ফুটবল ক্লাবের সদস্যরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।প্রত্যেক ইভেন্টের প্রথম স্থানাধিকারীরা পরবর্তী স্তরে যোগদানের ছাড়পত্র পাবে বলেও তাঁরা জানান।খুদেদের প্রেরণা জোগাতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন সোনামুই ফতে সিং নাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দয়াময় ভট্টাচার্য,প্রাক্তন শিক্ষক শম্ভুনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ।এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে পড়ুয়াদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

Comments

Popular posts from this blog

সবুজ সচেতনতায় অভিনব পদক্ষেপ শ্যামপুরের স্কুলে,পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ পেন

নিজস্ব প্রতিনিধি: দূষণের ফলে একদিকে যেমন  গলছে বরফ,বাড়ছে তাপমাত্র,তেমনই রাজধানী দিল্লি ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশায়।এই দানবীয় শক্তির মূলে কুঠারাঘাত হানতে না পারলে অনতিদূরেই অপেক্ষা করছে ঘোরতর বিপদ।আর এই দানবীয় শক্তিকে রোধ করতে প্রয়োজন সবুজের।সবুজ রোপণ ও তার সঠিক পরিচর্যার।আর সেই বার্তাই নব প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করতে অভিনব উদ্যোগ নিল শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ।বিদ্যালয় কর্ত্তৃপক্ষের তরফে প্রায় ৩০০ পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হল বিশেষ ধরনের পেন যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গাছের বীজ।পেন ব্যবহারের পর তা ফেলে দিলে সেই বীজ মাটিতে পরে গাছ সৃষ্টি হবে বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুচন্দ্রিমা সেনগুপ্ত। তিনি আরও জানান,পেনগুলি তৈরি করেছে শ্যামপুরের 'আলোর দিশা' নামক একটি সংস্থা।বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পেন তুলে দেন স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমিত দাস।এর পাশাপাশি খুব শীঘ্রই স্থানীয় বাজারে কাগজের ঠোঙায় বীজ দিয়ে তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও বিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে।শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত এই অভিনব পদক্ষেপ

এক টুকরো শান্তির নীড়ে চলছে পাঠদান,সবুজের সমারোহে সেজে উঠেছে গ্রামীণ হাওড়ার নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ

পৃথ্বীশরাজ কুন্তী: নীলসাদা বিল্ডিংগুলি যেন একটুকরো শান্তির নীড়,আর তার মধ্যে প্রাণের স্ফুরণ ঘটাচ্ছে নবপ্রজন্মের তরতাজা প্রাণগুলো।শিক্ষাঙ্গন হোক মুক্তাঙ্গন।শিক্ষার সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত স্বাস্থ্য।তাই শিক্ষাঙ্গনে স্বাস্থ্যকর সবুজ নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা আবশ্যক।আর সেই ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়েই বিদ্যালয়কে পড়ুয়াদের কাছে মুক্তাঙ্গন রূপে গড়ে তুলতে একগুচ্ছ অভিনব ভাবনার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে শ্যামপুর-২ ব্লকের নাওদা নয়নচন্দ্র বিদ্যাপীঠ। বিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করার সময়ই অদ্ভুত সুন্দর ভালোলাগা তৈরি হয়ে যাবে বিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক নীরব সবুজ পরিবেশে।মুহুর্তের মধ্যেই যে কেউ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রেমে পরবে তা নির্দ্বিধায় বলাই যায়।না শুধু বিদ্যালয় চত্বর জুড়ে অনন্যসুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলাই নয়,সমানতালে বিভিন্ন সৃজনশীল ভাবনার প্রতিফলন ঘটেছে বিদ্যালয় চত্বরজুড়ে।জল সংরক্ষণের ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে উঠেছে বৃষ্টির জল পুনর্ব্যবহারের বিশেষ ব্যবস্থা।  পাশাপাশি,২-৩ ফুট গর্ত করে সেখানে সোকপিট করে তৈরি  হয়েছে ভৌমজল সঞ্চয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।পড়ুয়াদের

বন্যপ্রাণ রক্ষায় এগিয়ে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে বন্যপ্রাণ রক্ষায় রাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে।বন্যপ্রাণী সম্পর্কে মানুষও ক্রমে সচেতন হচ্ছেন।এবার বন্যপ্রাণ রক্ষায় সরাসরি এগিয়ে এলেন আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত কুমার পাল।জানা গেছে,আজ আমতা-২ ব্লকের নারিট থেকে কুশবেড়িয়ায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে নারিট-কুশবেড়িয়া রোডের তেগেছিয়ার কাছে রাস্তায় একটি পেঁচাকে পরে থাকতে দেখেন তিনি। পেঁচাটির শরীরে সামান্য আঘাতও ছিল।তৎক্ষনাৎ সুকান্ত বাবু নিজের গাড়িতে পেঁচাটিকে তুলে নেন।তিনি ও তাঁর সহযাত্রী অভিজিৎ প্রামাণিক পেঁচাটিকে দ্রুত উদ্ধার করে নিয়ে এসে বন দপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেন।সুকান্ত পাল বলেন,"বন্যপ্রাণ রক্ষা ও সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।সমাজের সর্বস্তরে গড়ে তুলতে হবে সচেতনতা।"