নিজস্ব প্রতিনিধি: এব্যাঙ্কে সুদ মেলেনা ঠিকই,তবে সুদের থেকেও মেলে বেশিকিছু যার ফলাফল সুদূরপ্রসারী।বৃক্ষরোপণ,বৃক্ষপ্রদান সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাঝেই চারাগাছকে মহীরুহে পরিণত করার লক্ষ্যে আস্ত একটি 'ট্রি-ব্যাঙ্ক' গড়ে তুলেছে গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-১ ব্লকের ফতেপুর জনসেবা সমিতি নামক এক পরিবেশপ্রেমী সংগঠন।বহু মানুষের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন গাছের চারা জন্মায়।লোকবল হোক কিমবা স্থান সংকুলানের কারণেই হোক তা বাঁচানো ববহুক্ষেত্রে সম্ভব হয়না।ফতেপুর গ্রামের এই সংগঠনের সদস্যরা সেই সমস্ত চারাগাছ বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংগ্রহ করে 'ট্রি-ব্যাঙ্ক'-এ নিয়ে আসেন ও তা যত্ন সহকারে বড়ো করে তোলেন।পাশাপাশি,ট্রি-ব্যাঙ্ক থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গাছ নিয়ে গিয়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বহু মানুষ নিজেদের বাড়িতে রোপণ করেন বলে জানান সংস্থার সম্পাদক হেমন্ত দাস।শুধু তাই নয়,গাছ দেওয়ার পর সংগঠনের সদস্যরা নিয়ম করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে বসানো গাছ ও তার বৃদ্ধি পরিদর্শন করেন।এছাড়াও,কোনো ব্যক্তি তাঁর অব্যবহৃত জমিতে বৃক্ষরোপণ করতে চাইলে এই সংগঠনের প্রতিনিধিরা গিয়ে গাছ বসিয়ে আসেন ও নিয়মিত পরিদর্শনে যান।সেইসব বসানো গাছ পরিচর্যার উপর বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা তাঁরা করেছেন বলে হেমন্ত বাবু জানান।ট্রি-ব্যাঙ্কে একসাথে তিনশো গাছ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।এই ব্যাঙ্কে স্থান পেয়েছে মেহগিনি,শিশু,সেগুন,লম্বুর মতো বিভিন্ন বৃক্ষ জাতীয় গাছ।
ফতেপুর জনসেবা সমিতির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন রাস্তার ধারে নিয়মিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় বলে জানান সংস্থার সহ-সম্পাদক শ্যামল পাত্র।তাঁর কথায়,সাধারণ গ্রামীণ মানুষের মধ্যে সবুজপ্রীতি ও সবুজ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।ট্রি-ব্যাঙ্কে মূলত গাছ আসে নুন্টিয়ার এক নার্সারি থেকে।নার্সারির মালিক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল খুব স্বল্প মূল্যের বিনিময়ে তাঁদের হাতে গাছ তুলে দেন বলেও তিনি জানান।পাশ্ববর্তী গ্রাম উদংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'স্বপ্ন দেখার উজান গাঙ'-এর কর্তা মানস পাল এহেন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে জানান,তাঁদের সংগঠন বছরের বিভিন্ন সময়ে গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে।সেই কর্মসূচিতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বৃক্ষপ্রদান করে এগিয়ে আসে এই ট্রি-ব্যাঙ্ক।
Comments
Post a Comment